ভারতে মুসলিম
মেয়েদের শিক্ষিত করার লক্ষ্যে চালু করছে নতুন একটি প্রকল্প। প্রকল্পের নাম
দেওয়া হয়েছে ‘শাদি সগুন’।
এই প্রকল্পের অধীনে ভারতের স্নাতক উত্তীর্ণ
মুসলিম মেয়েদের বিয়ের সময় দেওয়া হবে এককালীন ৫১ হাজার রুপি।
বিয়ের সময় ৫১ হাজার রুপি পাওয়ার জন্য অবশ্য শর্ত আছে। শর্তটি হলো,
স্নাতক পাস করা মেয়ের পরিবারের বার্ষিক আয় ২ লাখ রুপি ও তার কম হতে হবে এবং
মেয়েটিকে অবিবাহিত হতে হবে।
২০০৩ সালে প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি
বাজপেয়ির আমলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বৃত্তি চালু করেছিল কেন্দ্রীয়
সরকার। সেই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘বেগম হজরত মহল স্কলারশিপ’।
এই
প্রকল্পে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের মাসিক বৃত্তি দেওয়া হয়। দেখা গেছে
দ্বাদশ শ্রেণি পড়ার পর পিছিয়ে পড়া মুসলিম সম্প্রদায়ের মেয়েদের বিয়ে দেওয়া
হয়। সেখান থেকে মুসলিম মেয়েদের স্নাতক পর্যন্ত পড়ানোর লক্ষ্যে এবার চালু
করা হচ্ছে এই নতুন প্রকল্প।
শনিবার সংবাদমাধ্যম সূত্রে বলা হয়েছে, এ
বছরের জুলাই মাসে ভারতের সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভিকে
একটি প্রস্তাব পাঠায় ‘মৌলানা আজাদ এডুকেশন ফাউন্ডেশন’। বেগম হজরত মহল
স্কলারশিপের তহবিল দেখভাল করে এই সংস্থাই। প্রস্তাবে বলা হয়, এই ধরনের
প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে মুসলিম মেয়েদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার হার বাড়বে।
এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিন মাসের মধ্যেই ছাড়পত্র দেয় সংখ্যালঘু
উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। মওলানা আজাদ এডুকেশন ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ শাকির
হুসেন আনসারি বলেছেন, মেয়ের বিয়ে না পড়াশোনা, এত দিন এই প্রশ্নে দোটানায়
যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা স্বস্তি পাবেন এই প্রকল্পে। মেয়েদের পড়াশোনা করানোর
ব্যাপারে আরও উৎসাহিত হবেন তাঁরা।