বাংলা নিউজ ডেস্ক:


মাসুম হোসেন. নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় সাবরুল গ্রামে ভূয়া পুলিশ ভেবে ডিবি পুলিশের ২জনকে আটক করে গন ধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনগন। গতকাল রোববার সকাল সারে ৯টায় উপজেলার সাবরুল বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এসময় কৌশলে একজন পালিয়ে যায়। বেলা ১২টার দিকে শাজাহানপুর থানা পুলিশে ও জেলা ডিবি পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। তবে জনগনের হাতে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছে ডিবি পুলিশ। এসআই কুদ্দুস  ও কনস্টেবল মিজান মাদক মাদক ব্যবসায়ী গোলামকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিলো বলে তাদের দাবী।


গোলামের মেয়ে শাজাহানপুর উপজেলা কৃষক লীগ নেত্রী গুলশান আকতার বিথী, ওই এলাকার ৩য় শ্রেনীর ছাত্র ইউসুফ, ৭ম শ্রেনীর ছাত্র বাপ্পী হাসান সহ পরিচয় গোপন রাখার শর্তে অনেকে জানায়, সকালে গোলাম তালুকদার সকালে বাড়ির অদূড়ে একটি এনজিও থেকে ঋণ নিতে যাচ্ছিলেন। এসময় সিভিল পোশাক পড়া ২জন লোক এসে গোলামকে ধরে মারতে মারতে সিএনজি চালিত থ্রী-হুইলারে নিয়ে সাবরুল বাজারে আসেন। এসময় তারা গোলামকে ধরার কারন জিজ্ঞাসা করেন এবং তাদের পরিচয় জানতে চান। কথা বলার এক পর্যায়ে শত শত উৎসুক জনতা জমে যায় এবং ওই দুই জনের পরিচয় জানতে চান। ওই ২জন নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দেয় তবে পরিচয় পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। এতে লোকজনের মধ্যে সন্দেহ হলে বাজারের শত শত লোকজন তাদের গন ধোলাই দেয়।  এসময় কৌশলে একজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।


৩মাস আগে এই এলাকায় মাসুদুল হক পিন্টু নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ার পরে মারা যান। সেই ঘটনায় মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিলো। তার উপরে একজনকে ধরে প্রকাশ্যে মারপিট করা এবং পুলিশ পরিচয় দিলেও পরিচয় পত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় এই ঘটনার সৃস্টি হয়েছে।


বগুড়া ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, এসআই কুদ্দুস এবং কনস্টেবল মিজান ওই এলাকায় মাদক উদ্ধার করতে গিয়েছিলো। পুলিশকে আটকের কোন ঘটনা ঘটেনাই।


শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক(সার্বিক) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, ডিবি পুলিশ বগুড়া জেলার যে কোন স্থানে অভিযান চালাতে পারেন। তবে এখানে কি কাজে এসেছিলো সে ব্যপারে জানা নেই।