ধনী বা কোটিপতি হয়ে যাওয়া একটি বিভ্রান্তিপূর্ণ বিষয়। অনেকেই নিজের পরিশ্রমে মাত্র ৩০ বছর বয়সেই এ কাজটি করতে সক্ষম হন। আবার কারো কাছে এটি সারা জীবন স্বপ্নই থেকে যায়। তবে এ লেখায় দেওয়া পরামর্শগুলো ঠিকভাবে মেনে চললে মাত্র ৩০ বছর বয়সেই কোটিপতি হওয়া অসম্ভব কোনো কাজ নয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. টাকা অনুসরণ করুন
বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক আয়ে আপনার পক্ষে কোটিপতি হওয়া সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন সম্ভব সব উপায়ে আয় বাড়ানো। এ লক্ষ্যে সবসময় চিন্তাভাবনা করতে হবে এবং টাকার পথ অনুসরণ করতে হবে।
২. বিলাস বন্ধ করুন
ব্যবসায় পর্যাপ্ত টাকা লাভ হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনার বিলাসদ্রব্য কেনাকাটা করা বন্ধ রাখতে হবে। সম্ভাব্য সব উপায়ে বিনিয়োগ করার জন্য প্রত্যেকটি টাকা সংরক্ষণ করতে হবে। পর্যাপ্ত টাকা হাতে আসার আগ পর্যন্ত দামি ঘড়ি, কিংবা বিলাসবহুল গাড়ির পেছনে কোনো খরচই করা যাবে না।
৩. বিনিয়োগের জন্য সঞ্চয় করুন, জমানোর জন্য নয়
আপনার টাকা সঞ্চয়ের একমাত্র কারণ হবে তা নতুন করে বিনিয়োগ করা। আপনার সঞ্চিত টাকা নিরাপদ কোনো স্থানে বিনিয়োগ করুন। এ ছাড়াও যথেষ্ট লাভ হয় এমন কোনো সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে রাখতে পারেন।
৪. লাভবিহীন ঋণ বর্জন করুন
যে ঋণ আপনাকে কোনো টাকা দেয় না, সে ঋণ বর্জন করুন। কিন্তু ঋণ থেকে করা বিনিয়োগে যদি আপনার কোনো নিশ্চিত লাভ হয় তাহলে তা নিতে পারেন। ধরুন ঋণ করে একটি গাড়ি কিনলে তা থেকে যদি আপনার আয় বেশ কিছুটা বেড়ে যায়, তাহলে তা করা যেতে পারে।
৫. টাকাকে প্রেমিকার মতো দেখুন
টাকাকে যদি গুরুত্ব না দেন, তাহলে টাকাও আপনাকে গুরুত্ব দেবে না। এ কারণে বহু মানুষ টাকা চাইলেও টাকা তাদের কাছে ধরা দেয় না। টাকাকে প্রথম পছন্দ হিসেবে বিবেচনা করুন। একে কোনো চাহিদা পূরণের জন্য নয় বরং আরও টাকা উপার্জনের জন্যই ব্যবহার করুন।
৬. টাকা ঘুমায় না
টাকা ঘড়ির কাটা ধরে চলে না। সে ছুটির দিন সম্বন্ধেও অবগত নয়। তাই আপনি যত বেশি সময় ধরে চেষ্টা করবেন, যত রাত জাগবেন, তত বেশি টাকা আপনার কাছে আসবে।
৭. গরিব হওয়ার কোনো অর্থ হয় না
সব সময় মনে রাখতে হবে, কোনোক্রমেই গরিব হওয়া চলবে না। এজন্য পরিশ্রম ও টাকার সদ্ব্যবহারের দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। বেশ কয়েক বছর বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাব পাওয়া বিল গেটস বলেছেন, ‘আপনি যদি গরিব অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেন, তা আপনার দোষ নয়। কিন্তু আপনি যদি গরিব অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে সেটা আপনার দোষ।’
৮. কোটিপতি বন্ধু ও পরামর্শদাতা খুঁজে নিন
আমরা অধিকাংশই মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করি এবং সে পরিবেশেই বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে চলি। কিন্তু তার বদলে আমরা যদি কোটিপতি বন্ধু ও পরামর্শদাতা খুঁজে নিতে পারি, তাহলে তা খুবই কার্যকর হয়। কোটিপতি বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার প্রয়োজন নেই, তাদের পরামর্শই আপনার অনেক কাজে দেবে।
৯. যথাযথভাবে টাকা বিনিয়োগ করুন
আপনার টাকা কোনো একটা লাভজনক খাতে যথাযথভাবে বিনিয়োগ করুন। আর এ বিনিয়োগের ওপরই নির্ভর করবে আপনার কোটিপতি হওয়ার বিষয়টি। আপনি যদি বিনিয়োগের মতো যথেষ্ট টাকা জমাতে না পারেন, তাহলে এক্ষেত্রে আপনি পিছিয়ে পড়বেন।
১০. লক্ষ্য রাখতে হবে বড়
এ পৃথিবীতে টাকার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। আপনি যতো সম্ভব টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু এজন্য লক্ষ্য রাখতে হবে বড়। যদি এক কোটি টাকা উপার্জনের লক্ষ্য রাখেন, তাহলে তা উপার্জনে আপনাকে গলদঘর্ম হতে হবে। কিন্তু যদি তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি টাকা উপার্জনের লক্ষ্য রাখেন, তাহলে পুরোপুরি সে লক্ষ্য অর্জন করতে না পারলেও তার কাছাকাছি উপার্জন করতে পারবেন।
Disclaimer:
This post might be introduced by another website. If this replication violates copyright policy in any way without attribution of its original copyright owner, please make a complain immediately to this site admin through Contact.