প্রগেস
ফুড ভিলেজ
RSS Twitter LinkedIn Pinterest YouTube Enter your e address... Subscribe! BREAKING NEWS POPULAR POSTS Add New Breaking News Widget for Blogger Hello to you again in the new topic, and exclusive of the blog newth3, today, we will add a new tool and easy, this tool you view the ... Add Featured Posts Slider Widget For Blogger Hello, my friends, is a slideshow of the most important additions are looking for many people because they add a distinctive But some... add vertical side menu for blogger hi my friends Today I will give you add vertical side menu for blogger, this widget is beautiful And easy to install add a light on... Top 10 Movie Templates For Blogger Thousands of users work on movie niche blogs on blogger/BlogSpot. But some of them can’t select a better template for their movie blog but... Add Beautiful Animated Lavalamp Menu for Blogger Welcome to a new topic, and this time the lists lava lamp Is something important to help the visitor to access the sections or page... BloggerTemplate Farhan Side Download Today I'll give you a template nice and fast, and has a new additions, For more blog templates Click here Farhan Side Blog... The application of "Eraser" to delete your data before selling your smartphone If you are one of those who wish to sell their smart phones , but you are suffering from the problem of scanning images and data and t... How do you create Android applications easily and earn money Android is the most widely used operating system in the world where it was very popular for being a free and open source. Suppose y... Add Related Posts Widget To Blogger Today my friends give you a new topic Add new task, which helps the user to read the related topics and contribute to increase the n... Top 10 Best Free Blogger Templates If you are planning to make your own blog. Blogger is best free blogging platform for blogging. Blogger is easy to use with a simple na... LABELS FACEBOOK (10) MONEY (16) PHONE (2) Security (2) SEO (14) SMARTPHONE (63) TEMPLATE BLOGGER (17) WIDGET BLOGGER (39) Windows (4) Home » WIDGET BLOGGER Add New Breaking News Widget for Blogger
রংপুরে কোন ধরনের সহিংসতা হলেই ভোট বন্ধ : সিইসি

বাংলা নিউজ ডেস্ক:
আসন্ন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কোনো কেন্দ্রে কোন প্রকার সহিংসতা হলেই ভোট বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে রোববার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান সিইসি এই আশার কথা বলেন। এ সময় অন্য চার কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিয়ে বাসায় ফিরে যেতে পারেন এবং সব প্রার্থীরা যাতে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারেন- আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সংখ্যালঘুরা যাতে নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগেন, সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সব ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেন নুরুল হুদা।
সিইসি জানান, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন, আনসার মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে তিন হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে। ১৯৩টি কেন্দ্রের প্রতিটিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২২ জন করে সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন থাকবে। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকবে ২৪ জন করে সদস্য।
সিইসি জানান, পুলিশ-এপিবিএনের সমন্বয়ে ৩৩টি, র্যাবের ৩৩টি ও বিজিবির ৩৩ টহল দল নির্বাচনের মাঠে থাকবে।
বগুড়ার শাজাহানপুরে জব্বার হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টের উদ্বোধন
বাংলা নিউজ ডেস্ক:
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গতকাল রোববার দুপুরে বগুড়া শাজাহানপুরের মাঝিড়ায় জব্বার হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার বাদল প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে রেষ্টুরেন্টের উদ্বোধন করেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম জাহেরুল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাছুদুর রহমান, ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন বাবলু ও উপজেলার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বগুড়ার শাজাহানপুরে দুই ডিবি পুলিশকে গণধোলাই
বাংলা নিউজ ডেস্ক:
মাসুম হোসেন. নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় সাবরুল গ্রামে ভূয়া পুলিশ ভেবে ডিবি পুলিশের ২জনকে আটক করে গন ধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনগন। গতকাল রোববার সকাল সারে ৯টায় উপজেলার সাবরুল বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এসময় কৌশলে একজন পালিয়ে যায়। বেলা ১২টার দিকে শাজাহানপুর থানা পুলিশে ও জেলা ডিবি পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। তবে জনগনের হাতে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছে ডিবি পুলিশ। এসআই কুদ্দুস ও কনস্টেবল মিজান মাদক মাদক ব্যবসায়ী গোলামকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিলো বলে তাদের দাবী।
গোলামের মেয়ে শাজাহানপুর উপজেলা কৃষক লীগ নেত্রী গুলশান আকতার বিথী, ওই এলাকার ৩য় শ্রেনীর ছাত্র ইউসুফ, ৭ম শ্রেনীর ছাত্র বাপ্পী হাসান সহ পরিচয় গোপন রাখার শর্তে অনেকে জানায়, সকালে গোলাম তালুকদার সকালে বাড়ির অদূড়ে একটি এনজিও থেকে ঋণ নিতে যাচ্ছিলেন। এসময় সিভিল পোশাক পড়া ২জন লোক এসে গোলামকে ধরে মারতে মারতে সিএনজি চালিত থ্রী-হুইলারে নিয়ে সাবরুল বাজারে আসেন। এসময় তারা গোলামকে ধরার কারন জিজ্ঞাসা করেন এবং তাদের পরিচয় জানতে চান। কথা বলার এক পর্যায়ে শত শত উৎসুক জনতা জমে যায় এবং ওই দুই জনের পরিচয় জানতে চান। ওই ২জন নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দেয় তবে পরিচয় পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। এতে লোকজনের মধ্যে সন্দেহ হলে বাজারের শত শত লোকজন তাদের গন ধোলাই দেয়। এসময় কৌশলে একজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
৩মাস আগে এই এলাকায় মাসুদুল হক পিন্টু নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ার পরে মারা যান। সেই ঘটনায় মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিলো। তার উপরে একজনকে ধরে প্রকাশ্যে মারপিট করা এবং পুলিশ পরিচয় দিলেও পরিচয় পত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় এই ঘটনার সৃস্টি হয়েছে।
বগুড়া ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, এসআই কুদ্দুস এবং কনস্টেবল মিজান ওই এলাকায় মাদক উদ্ধার করতে গিয়েছিলো। পুলিশকে আটকের কোন ঘটনা ঘটেনাই।
শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক(সার্বিক) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, ডিবি পুলিশ বগুড়া জেলার যে কোন স্থানে অভিযান চালাতে পারেন। তবে এখানে কি কাজে এসেছিলো সে ব্যপারে জানা নেই।
বিএনপি অংশ না নিলে আগামীতে নির্বাচন হবে না
বাংলা নিউজ ডেস্ক:
বিএনপি অংশগ্রহন ছাড়া নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এখন ক্ষমতায় আছেন কিছুদিনের জন্য। খুব আনন্দিত হচ্ছেন, বগল বাজাচ্ছেন যে আমরা তো ক্ষমতায় এসে যাবো। কোনো চিন্তা নেই, বিএনপি না এলে না আসবে। বিএনপি না আসলে হবে না। আর গিলাতে পারবেন না। এদেশের মানুষকে আর ওই ধরণের নির্বাচন গিলাতে পারবেন না।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষ অবশ্যই আগামী নির্বাচনে সমস্ত দলগুলোকে নির্বাচনে দেখতে চায়, এ দেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে একটা সত্যিকার অর্থেই সুন্দর পরিবেশ-পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নির্বাচনে যেতে চায়, এদেশের মানুষ তারা নিজেরা নিজের ভোট দিয়ে সরকার পরিবর্তন করতে চায়, সরকার গঠন করতে চায়।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীতে সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ভাসানী স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুদিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।
সরকারের উদ্দেশ মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষের কাছে যান, তাদের হৃদয়ের ভাষাটা বুঝুন, চোখের ভাষাটা বুঝুন, দেয়ালের লিখনটা পড়ুন, দেখুন তারা কি বলেছে। তারা সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন চায়, জনগনের সরকার চায়।সেই পরিবর্তন সম্ভব যদি একটা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়।
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে ‘কিংবদন্তীর নেতা’ হিসেবে অভিহিত তার মৃত্যু দিবসের সংবাদ জাতীয় দৈনিকসহ গণমাধ্যমে ‘ছোট করে প্রকাশে’ বেদনার ও ক্ষোভের কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
ভাসানী স্মৃতি সংসদের সভাপতি জিয়াউল হক মিলু‘র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সাবেক মন্ত্রীজাকারিয়া খান চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, সাবেক মন্ত্রী নুর মোহাম্মদ খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট নজমুল হক নান্নু, মেহেদি আহমেদ রুমী, মরহুম নেতা মসিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে ন্যান্সি রহমার, স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুল হুদা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তোষামোদি নয়, নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ দেখতে চায় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটা নির্বাচন কমিশন বানিয়েছেন আপনাদের ইচ্ছামতো লোক দেখানো কিছু ক্যারিকেচার করে এটা করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, তিনি তোষামদি করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন আনতে চান। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, আপনি নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নিন, নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন। কাউকে তোষামোদি করার তো দরকার নেই। এটার প্রয়োজন নেই।
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নির্বাচন কমিশনে শেষ হওয়া সংলাপের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বিএনপি বলেছেন, খুব খুশি করার চেষ্টা করছেন। আবার বলছেন যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানুষ দিয়ে আওয়ামী লীগের কথা বলছেন। এসব কথা বললে লাভ হবে না। কাজে দেখান। কাজের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে আপনারা নিরপেক্ষ প্রমাণ করুন।
সব রাজনৈতিক দলগুলোর সমান সুযোগ সৃষ্টির দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন থেকে সব কিছু আওয়ামী লীগ সরকার করে যাবে। তারা মহাসুখে হেলিকপ্টারে চড়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন। আর আমরা একটা মিটিংও করতে পারব না, রাস্তায় দাঁড়াতেও পারব না, একটা সত্য কথা বলতেও পারব না, আমরা কোর্টের বারান্দায় ঘুরব, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাপ্তাহে সাপ্তাহে হাজিরা দিতে হবে, আমাদের সব নেতা-কর্মীদের হাজিরা দিতে হবে- এভাবে নির্বাচন হবে না। লেভেল ফিল্ড এখন থেকেই সব রাজনৈতিক দলকে তাদের কাজ করতে দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে, সমস্ত রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং এই সংসদকে ভেঙে দিতে হবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি ফলপ্রসু ও একটা কার্য্করী নির্বাচন দিতে হবে।
বারী সিদ্দিকীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক
বাংলা নিউজ ডেস্ক:
দেশে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী বারী সিদ্দিকীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, তাঁর দুটি কিডনি অকার্যকর। তিনি বহুমূত্র রোগেও ভুগছেন। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। এরপর তাঁকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন তিনি অচেতন ছিলেন। তাঁকে দ্রুত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।
আজ শনিবার সকালে বারী সিদ্দিকীর ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী জানান, গতকাল সন্ধ্যায় তিঁনি শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে যান। সেখান থেকে রাত ১০টা নাগাদ বাসায় ফেরেন। তখনো তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। কোনো অসুস্থতার কথা বলেননি। গভীর রাতে হঠাৎ তিনি গুরুতর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। মুহূর্তেই অচেতন হয়ে পড়েন। তাঁর অবস্থা ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। চিকিৎসকেরা কোনো আশার কথা বলতে পারছেন না। তিনি বারী সিদ্দিকীর জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
আমির ইজ বেক!!
বাংলা নিউজ ডেস্ক:
পাকিস্তানের ঝড়ো গতির পেসার মোহাম্মদ আমির এবার নাম লিখিয়েছেন ঢাকা ডায়নামাইটসে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আমির ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শেষ করে অবশেষে চলে আসলেন বিপিএলে মাতাতে।
আজ বিকাল ৫টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে নামেন তিনি।ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হয়তো ঢাকার পরের ম্যাচেই মাঠে নামবেন পাকিস্তানের বাম-হাতি এই পেসার।আমিরের ক্যারিয়ারে বিপিএল একটি বিশাল মাইলফলক হয়ে থাকবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর পর দেশের বাইরে প্রথম এই বিপিএলেই নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।বিপিএলের তৃতীয় আসরে খেলেছেন চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে।
মডেল এর কুমারিত্বর দাম ২৪ কোটি টাকা
বাংলা নিউজ ডেস্ক:
কুমারিত্বকে নিলামে চড়িয়ে আলোচিত হলেন ১৯ বছর বয়সি মার্কিন মডেল। আংশিক সময়ের ছাত্রী এই মডেল ফ্যাশন জগতে ‘গিসেলে’ নামে পরিচিত।গিসেলের এই কুমারিত্ব-নিলাম সংঘটিত হয়েছে জার্মানির সিন্ডেরেলা এসকর্টস-এর মাধ্যমে। অনলাইনে দামাদামির এক পর্যয়ে আবু ধাবির এক এজেন্ট ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে কিনে নেন গিসলের কুমারিত্ব। যা বাংলাদেশি টাকায় ২৪ কোটি।প্রতিক্রিয়ায় গিসেলে জানিয়েছেন, এত দিনে তার স্বপ্ন সফল হল। তিনি এই বিপুল অর্থ দিয়ে কলেজের ফি দেবেন। নতুন একটা বাড়ি কিনবেন, ডানা মেলে বিশ্বভ্রমণে বের হয়ে যাবেন।এ বিষয়ে গিসেলের অভিমত হলো কুমারিত্ব এক প্রকার বন্ধন। তাই তিনি বন্ধনমুক্ত হতে চান। আর এটা এমন ব্যক্তির মাধ্যমে যিনি তার প্রেমিক নন। এর পরে তার সংযোজন— ‘৩ মিলিয়ন ডলার পেলে কে আর কুমারিত্ব নিয়ে মাথা ঘামায়!’সিন্ডেরেলা এসকর্টস-এর খোঁজ পাওয়ার আগেই গিসেলে তার কুমারিত্ব বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। এই এজেন্সি তাঁর স্বপ্নকে সফল করেছে বলেই তার ধারণা।প্রসঙ্গত, সিন্ডেরেলা এসকর্টস-এর কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রিত হয় জার্মানির ডর্টমুন্ড থেকে। ২৭ বছর বয়সি জ্যান জ্যাকোবিয়েলস্কি এর মালিক। ২০১৬ সালে আলেকজান্দ্রে খেফরেন নামের জনৈক রুশ মডেলের কুমারিত্ব বিক্রির সুবাদে এই সাইট রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে ওঠে।
হিটলার চকলেটে উত্তেজিত দেশ!!
বাংলা নিউজ ডেস্ক:
মোবাশ্বেরুল হাবীব:
চারিদিকে বাবা আর বাবা, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন আড্ডায় ইয়াবার গুজ্নন। কম বয়সী কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এই ব্যাধি। সহজলভ্যতার কারণে দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রাম সহ বিভিন্ম মফস্বল এলাকায় । গ্রাস করে দিচ্ছে হাজারো বাবা মায়েল স্বপ্ন। দিনের পর দিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এর নির্মূলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও দিনে দিনে এর সহজলভ্যতা বেড়েই চলেছে। তা হলে ইয়াবার নির্মূল কি সম্ভব নয়? -এ প্রশ্ন সাধারন মানুষের।
ইয়াবায় দেশ ছেয়ে গেছে বলে স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পরও তা ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে এমপি রুস্তম আলী ফরাজীর এ সংক্রান্ত জরুরি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আনীত মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।
ফরাজী বলেন, দেশ মাদকের আগ্রাসনে জর্জরিত। প্রতিটি শহর, গ্রাম, এমনকি বাড়ি বাড়িতেও বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে স্কুল-কলেজের ছেলেরা অতি সহজে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। তিনি এ সময় মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে অনেক ব্যবস্থা নেয়ার পরও বান্দরবনের একটা দুর্গম এলাকায় নজরদারি বাড়াতে পারি না। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সীমানা সড়ক করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছে, যাতে ইয়াবা না আসে, কিন্তু এখনও সে চুক্তিতে যেতে পারিনি। যে চুক্তিটি ভারতের সঙ্গে করতে আমরা সমর্থ হয়েছি।তিনি আরও বলেন, ইয়াবার ভয়াবহতা অনেক, এটা এখন একটা সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এখানে ঘুরে দাঁড়াতে হবে জনসাধারণকে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলেছি এ বিষয়ে যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের বলে। জুম্মার খুতবায় যেন ইমাম সাহেব সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন করেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জেলখানাগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছি। জেলে মাদক ব্যবসায়ীরা শাস্তি ভোগ করছে। তারা জেলখানায় রয়েছে। বর্ডার লাইন সিল করছি। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। তবে সাধারণ জনগণ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, অভিভাবক সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে। তা হলে ঐশীর মতো আর কোনো সন্তান বাবা-মাকে হত্যা করতে পারবে না।
বগুড়ায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই চির নিদ্রায় শায়িত বীর মুক্তিযোদ্ধা
বাংলা নিউজ ডেস্ক:
মাসুম হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বগুড়া শাজহানপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশের অবসর প্রাপ্ত এসআই নুরুন্নবী রাষ্টীয় মর্যাদা ছাড়াই চির নিদ্রায় শায়িত হলেন। উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিতে অবহেলা করেছে। অপরদিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে জাতির হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।
জানাযায়, বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার শাকদহ গ্রামের মৃত-মাছির উদ্দীনের পুত্র মোঃ নুরুন্নবী।
তৎকালীন পাকিস্থান আমলে ১৯৬৬ সালে তিনি পাবনা জেলায় পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে স্বধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি থানা থেকে ৩টি অস্ত্র চুরি করে পালিয়ে এসে ভারতের দার্জিলিংয়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহন করেন। যুদ্ধের প্রশিক্ষণ শেষে রংপুর জেলার চিলমারি এলাকায় ৬নং সেক্টরের প্লাটুন কমান্ডারের দাঁয়িত্ব নিয়ে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। স্বাধীনতা অজর্নের পর তিনি আবারো পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ২০০০ সালে তিনি ঠাঁকুরগাও সদর থানা থেকে অবসরে আসেন। সারিয়াকান্দিতে নদীগর্ভে তাঁর ভিটে মাটি গ্রাস হলে তিঁনি বগুড়া শহরের নারুলীতে জমি কিনে বাড়ি নির্মান করে বসবাস করেন। এক বছর পূর্বে শহরের বাড়ি বিক্রয় করে শাজাহানপুর উপজেলার ডোপনপুকুর গ্রামের জায়দারপাড়ায় বাড়ি নির্মান করে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। তাঁর ছেলে তুহিন রংপুর জেলায় পুলিশ কনস্টেবল হিসাবে কর্মরত রয়েছে। ছেলের চাকুরীর সুবাদে তিঁনি রংপুরে ছেলের কাছে থাকতেন। তিঁনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। ছেলে তুহিন চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার সকাল ১০টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮বছর। তাঁর ছেলে তুহিন ওই দিনই এ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁর লাশ বগুড়া শাজাহানপুর বাড়িতে নেওয়ার আগে থানায় নিয়ে ছিলেন। শাজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক(সার্বিক)জিয়া লতিফুল ইসলামকে মরহুম মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দিয়ে শাজাহানপুরে নিজ এলাকায় দাফন করা হবে জানিয়ে লাশ নিয়ে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লাশ দাফনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু সন্ধ্যা হলেও প্রশাসনের দেখা না মেলায় নিজেরাই লাশ দাফন করেন। অপরদিকে গত শুক্রবার রাতে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুন্নবীর বাড়িতে গিয়ে শোক সন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা জ্ঞাপন করে জাতির পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেন সাংবাদিক সাজেদুর রহমান সবুজ। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংবাদিক আরিফুর রহমান মিঠু, জিয়াউর রহমান, শরীফুল ইসলাম পান্না, মাসুম হোসেন, আনোয়ার হোসেন, রুমেল আশরাফ শিপলু, সানোয়ার হোসেন প্রমূখ।
বগুড়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রুহুল আমীন মোবাইল ফোনে জানান, শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং শাজাহানপুর থানার ওসির অবহেলার কারনে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই দাফন হয়েছে।
শাজাহানপুর উপজেলার সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) এর সহ-সভাপতি এম শাহীন আলম বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুন্নবীর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন না হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, শাজাহানপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক হলে অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধার লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন হতো।
বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল কাদের মোবাইল ফোনে জানান, বুধবার সারিয়াকান্দি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল কুদ্দুসের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নিশ্চিৎ হয়ে সাথে সাথে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।
শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাজাহানপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের মাধ্যমে তাকে নিশ্চিৎ করবেন। কিন্তু এ ব্যাপারে কেউ তাকে কিচ্ছু জানায় নাই। জানালে অবশ্যই রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতেন। শাজাহানপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তাকে বলেছেন নুরুন্নবী নামে শাজাহানপুর উপজেলায় কোন মুক্তিযোদ্ধা নাই।
হোমিও পল্লী চিকিৎসা প্রশিক্ষন কোর্স
শুধুমাত্র বিদুৎ সংযোগের নামে কোটি টাকা লুট হচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে
বাংলা নিউজ ডেস্ক:
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামেগুলোতে বিদু্যৎ সংযোগ দেয়ার নামে সহস্রাধিক পরিবারের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালালরা। ২-৩ বছরেও বিদু্যৎ সংযোগ না পাওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রচেষ্টায় শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সংযোগ দিয়ে আসছে বিদুৎ বিভাগ। সেই সুযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলার মির্জাপুরের মাগুরগাড়ী, সুখানগাড়ী, মাথাইলচাপড়, শিয়ালবর্ষ, ভাদাইশপাড়া, শংকরহাটা, তালতা (ধাপ), রাজবাড়ী বুড়িতলা, কাশিয়াবালা এলাকার ৫ শতাধিক, সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের ২৫০টি পরিবার, ভবানীপুর ইউনিয়নের আমিনপুর আড়ালিয়া আদর্শগ্রাহ পৌনে ৫ কিলোমিটার এলাকার ৩ শতাধিক অবহেলিত ও বিদু্যৎ সুবিধাবঞ্চিত গ্রামবাসীদের মধ্যে বৈদু্যতিক খুঁটি ও সংযোগ দেয়ার নামে মিটার প্রতি তিন থেকে সাত হাজার টাকা করে আদায় করে।দীর্ঘদিনেও বিদু্যৎ সংযোগ না পাওয়ায় ভুক্তভোগীরা ৬ সেপ্টেম্বর বগুড়া জেলা প্রশাসক, দুর্নীতিদমন কমিশনসহ সরকারের সংশিস্নষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান বলেন, আমি এ সবের কিছুই জানি না। আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ বা কোনো চক্র এমন কাজ করে থাকলে তাদের বিরম্নদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক গ্রেফতার, টঙ্গীতে বিক্ষোভ মিছিল
![]() |
বাংলা নিউজ ডেস্ক:
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে আকরামকে পল্টন থানার পুলিশ আটক করে মতিঝিল থানায় হস্তান্তর করে। সকালে পল্টন মোড় থেকে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। কাল শনিবার তাকে আদালতে তোলা হবে।আটকের পর ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদককে মতিঝিল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে দাবি করেন ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন।
আকরামুল হাসানকে 'গ্রেফতার' করা হয়েছে অভিযোগ করে তার মুক্তির দাবি করেছে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ।এদিকে এরই প্রতিবাদে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ মিচিল করছে ছাত্রদল। বিক্ষোভে মিছিলে ছাত্রদল নেতা শেখ সুমন, নুরুল ইসলাম ফরাদ সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তারা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এদিকে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, আকরামুলের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গেইল এলেন বাংলাদেশ মাতাতে
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলতে গতকাল ঢাকায় এসেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। দীর্ঘ জার্নির ক্লান্তির কারণে গতকাল অনুশীলন করেননি টি-২০র সম্রাট।
সারাদিন হোটেল রুমে ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন। আজ অনুশীলন করবেন ক্যারিবীয় তারকা। আগামীকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স। এ ম্যাচেই মাঠে নামবেন গেইল। ক্যারিবীয় তারকার এক দিন আগেই রংপুর রাইডার্সে যোগ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। গেইলের সঙ্গে তিনি ওপেনিংয়ে জুটি বাঁধবেন। এই জুটিকে নিয়েই ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখছে রাইডার্স। টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলেছে রংপুর। তার মধ্যে জয় মাত্র একটি। তবে টি-২০র ভয়ঙ্কর দুই তারকা গেইল-ম্যাককালাম যোগ দেওয়া দলের শক্তিমত্তা অনেক বেড়ে গেছে। দলের অন্য ক্রিকেটারদের মাঝেও বেড়ে গেছে আত্মবিশ্বাস। টানা দুই ম্যাচে হারলেও সামনের ম্যাচে জয়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছে উত্তরাঞ্চলের দলটি।
কাদেরের নির্দেশ মহিলা আওয়ামী লীগকে উঠান বৈঠকের
মহিলা আওয়ামী লীগকে পাড়া-মহল্লায় উঠান বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিজয় অর্জনে মহিলারাই হবে প্রধান হাতিয়ার।
সে লক্ষ্য সামনে রেখে এখন থেকেই কাজ করতে হবে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের হলরুমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ডস ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। হাতে সময় কম। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কথা জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। শেখ হাসিনার জন্যই মহিলারা আজ দেশে বিচারপতি, সচিব, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। এটি অন্য কোনো সরকারের সময় ছিল না। মোবাইল ফোন প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের হাতে পৌঁছে গেছে। এটিও এ সরকারের অবদান।
’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ১৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে। এটি কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ডস ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় একটি আনন্দ সমাবেশ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, লালবাগে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সে ব্যাপারে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগে শুধু আদর্শিক কর্মী নয়, কিছু পরগাছাও আছে। এ ঘটনা তদন্ত করে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে এতে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা মাহমুদা বেগম, মহানগর উত্তরের সভাপতি সাহিদা তারেখ দীপ্তি প্রমুখ।কাদেরের নির্দেশ মহিলা আওয়ামী লীগকে উঠান বৈঠকের
বনানীতে ব্যবসায়ী খুন. ভিডিও ফুটেজের চার যুবকের দিকেই দৃষ্টি
ভিডিও ফুটেজের চার যুবকের দিকেই দৃষ্টি র্যাব-পুলিশসহ সব কটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার। সম্ভাব্য সব কারণ নিয়ে কাজ করলেও প্রথমে চার যুবককে গ্রেফতার করতে চাইছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, এতে তদন্তের কাজ অনেক সহজ হবে। এরই মধ্যে চার যুবকের দুজনের ব্যাপারে কিছু তথ্যও পেয়েছেন তারা। তাদের গ্রেফতারের জন্য এখন সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বনানীর ৪ নম্বর সড়কের ১১৩ নম্বর বাড়ির নিচতলার মেসার্স এস মুন্সী ওভারসিজে ঢুকে মো. সিদ্দিককে গুলি করে হত্যা করে চার যুবক। এ সময় অন্য কক্ষে থাকা তিনজনকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে বীরদর্পে বেরিয়ে যায়।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আর্থিক বিরোধ কিংবা ব্যবসা-সংক্রান্ত ব্যক্তিগত শত্রুতার বিষয়টিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কয়েক মাস আগে টাঙ্গাইলে একটি মামলার আসামি করা হয় সিদ্দিককে। ওই মামলার নেপথ্য ইন্ধনদাতা হিসেবে আবদুস সালাম নামের এক ব্যক্তিকে সন্দেহ করতেন নিহত সিদ্দিক ও তার পরিবার। হাসান নামের ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন মেসার্স এস মুন্সী ওভারসিজের হয়ে সাব-এজেন্টের কাজ করেছেন।
প্রতিটি কাজ থেকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের কমিশন দেওয়া হতো হাসানকে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. শাহজাহান বলেন, ভিডিও ফুটেজের মাস্ক পরা চার যুবককে ছিঁচকে কোনো অপরাধী বলে মনে হয়নি। তাদের পরিচয় নিশ্চিত এবং গ্রেফতারে সহযোগিতা করতে সাধারণ মানুষের সহায়তা চেয়েছেন তিনি। সূত্র বলছে, ব্যবসায়িক বিরোধকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা। জনশক্তি রপ্তানি কিংবা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে হয়তো কারও সঙ্গে সিদ্দিকের আর্থিক সমস্যা থাকতে পারে। নিহতের মেয়েজামাই আবু হানিফ বলেন, ‘কারও সঙ্গে আমার শ্বশুরের শত্রুতা ছিল বলে আমার জানা নেই।
গত রোজার ঈদে সালাম নামের একজন বাবাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়েছিল। এ বিষয়ে তিনি একটি জিডি করেছিলেন। তবে ওই ঘটনার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের কোনো সংযোগ থাকবে বলে আমার মনে হয় না। ’ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মতিন বলেন, ‘চার যুবককে আইনের আওতায় আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। বিষয়টি নিয়ে একাধিক সংস্থা কাজ করছে। হয়তো শিগগিরই আপনাদের ভালো খবর দিতে পারব বলে আশা করছি। ’ তিনি বলেন, ওই চার যুবকের ছবি দেশের সব কটি বিমান, স্থল ও নৌবন্দরে দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডটিকে ‘পরিকল্পিত’ বলে দাবি করেন তিনি।
কার অধীনে কীভাবে ভোট বিএনপি চায় নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার সহায়ক-তত্ত্বাবধায়ক দুটোরই বিপক্ষে আওয়ামী লীগ ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কার অধীনে কীভাবে হবে তা-ই এখন আলোচনা হচ্ছে সারা দেশে। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করে ভোটের প্রস্তুতিতে সরকার।
অন্যদিকে বিএনপি বলছে, দলীয় সরকার তথা শেখ হাসিনার অধীনে ভোটে যাবে না তারা। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি রাখছে বর্তমান সীমানাতেই ভোট করার। পর্যাপ্ত সময়ের অভাবে কোনোভাবেই ইভিএমে যাবে না তারা। আর সেনা মোতায়েন নিয়ে খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও একজন নির্বাচন কমিশনার পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রাখছেন। সার্বিক অবস্থা মিলিয়ে ভোটের প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় কাটেনি ভোটারদের মধ্যে।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অবস্থান এখনো অস্পষ্ট। ভোটারদের কাছে তাদের স্বচ্ছ ধারণা দিতে হবে। তারা কীভাবে ভোট করবে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে তা নিয়ে এখনই কথা না বলে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, যাতে সাধারণ ভোটাররা তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারেন নির্বিঘ্নে, তাদের আস্থা ফিরে আসে নির্বাচন কমিশনের ওপর, যাতে ভরসা করতে পারে সব রাজনৈতিক দল। সব দল নিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়াই ইসির বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও একজন নির্বাচন কমিশনার ভিন্ন কথা বলছেন। সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে ইসি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ’ আর নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে। কোন প্রক্রিয়ায় সেনা মোতায়েন করা হবে, এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। ’ এ প্রসঙ্গে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে এখনো তাদের (ইসি) কথা বলার সময় হয়নি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মাঠ কর্মকর্তাদের রিপোর্ট এবং অন্যান্য রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সে অনুযায়ী ইসিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে যা যা করা দরকার তা-ই তাদের করতে হবে। এর আগে সব সময় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করেছে ইসি। ’ সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অবস্থান স্বচ্ছ হতে হবে ভোটারদের কাছে। তারা কীভাবে ভোট করবে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে, তা নিয়ে এখনই কথা না বলে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, যাতে সাধারণ ভোটাররা তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারেন নির্বিঘ্নে। ’ নির্বাচন কমিশনের সংলাপে গিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ১১ দফা সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চালুর পক্ষে মত দিয়েছে দলটি। সেনা মোতায়েন ও সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিরোধিতা করে তারা। ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর ওপর আস্থা রাখতে চায় দলটি। তবে প্রচলিত আইনে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি ইসির সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তার প্রস্তাব হলো, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন এবং ইসি নির্ধারিত ভোটের পরবর্তী সময়ের জন্য প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ন্যস্ত থাকবে। সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা নিয়ে জটিলতার আশঙ্কাও করছে ক্ষমতাসীন দলটি। তাই বর্তমান সীমানায় ভোটের পক্ষে তারা। তবে সীমানায় ছোটখাটো পরিবর্তনের বিষয়টি ইসির ওপর ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে নামানোর বিরোধিতা করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে কেন বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে? তারা ভোটের সময় সিভিলদের সহায়তা করবে। ২০০১ সালের নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে মোতায়েন করা হয়েছিল। এতে বিএনপি লাভবান হয়েছিল। ’ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না—বিএনপি চেয়ারপারসনের এমন বক্তব্যকে অপ্রত্যাশিত বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা। মৌলিক বিষয়ে বিপরীত অবস্থানে বিএনপি। দলটি জানিয়েছে, দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে যাবে না বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে জনমত তৈরি করার চেষ্টা করছে দলটি। সহায়ক বা তত্ত্বাবধায়ক যে নামেই ডাকা হোক—ভোট হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। এ নিয়ে সরকারবিরোধী অন্য দলগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে বিএনপি। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন যারা বর্জন করেছিল, তাদের সঙ্গে এ ইস্যুতে ঐকমত্য হয়ে যুগপৎ আন্দোলনে যেতেও রাজি বিএনপি। যদিও বিএনপির শরিক দলগুলো নিয়ে আপত্তি ওই সব দলের। সম্প্রতি রাজধানীর সোহওরাওয়ার্দী উদ্যানে এক জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্পষ্টই বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। শেখ হাসিনার অধীনে তো যাবেই না। একই সঙ্গে নির্বাচনকালীন সময়ে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী নামানোর কথাও তিনি বলেছেন। ইভিএমে ভোটে না যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। বুধবার রাতেও ২০-দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বেগম জিয়া একই বক্তব্য দেন। এতে জোট নেতারাও একমত হন। এ সময় জোট নেতাদের তিনি নির্বাচনের পাশাপাশি আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ারও নির্দেশনা দেন। কোনো কারণে বিএনপি জোটের নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মানা না হলে তাত্ক্ষণিক রাজপথে থেকেই আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের আভাসও দেন বিএনপিপ্রধান। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সরকার সংলাপের আয়োজন করলে বিএনপি তাতে সাড়া দেবে। সেখানে সরকার কিছুটা ছাড় দিলে বিএনপিও ছাড় দেবে। কিন্তু সংলাপ-সমঝোতা ছাড়া কোনোভাবেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না দলটি। এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, দলীয় সরকারের অধীনে ভোট নয়। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি। ’
হচ্ছে না ইভিএম : আগামী সংসদ নির্বাচনের বাকি আছে আর ১৩ মাসের মতো। পর্যাপ্ত সময় না থাকায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করবে না নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রস্তুত নয়। বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সিইসি বলেন, ‘আমরা কিন্তু জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনের জন্য ইভিএম নিয়ে প্রস্তুত নই। এটা আমরা স্থানীয় পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালাব। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম প্রয়োগ করার জন্য আমরা একেবারেই প্রস্তুত নই। ’
বর্তমান সীমানায় ভোট : একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে দুই দলের বিপরীতমুখী সুপারিশ পেলেও আওয়ামী লীগের প্রস্তাবে সায় দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আর বিএনপির প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দশম সংসদের আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচন করতে একটি নীতিমালা প্রস্তুত করছে ইসি সচিবালয়। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রস্তাবিত নতুন আইন অনুমোদন করে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে গেলে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান অনিশ্চয়তায় পড়ার আশঙ্কা আছে। তাই জটিলতার বিষয়গুলো তুলে ধরে দশম সংসদীয় আসনের জেলাভিত্তিক আসন বহাল রেখে একটি নীতিমালা মেনেই কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ২০০৮ সালের আগের সীমানায় ভোট করার বিষয়ে বিএনপির দাবি নাকচ হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন আদমশুমারি প্রতিবেদন ছাড়া সংসদীয় আসনে সীমানা নির্ধারণে আইনগত জটিলতা নিয়ে আওয়ামী লীগের শঙ্কার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরাকার অধীনে কীভাবে ভোট বিএনপি চায় নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার সহায়ক-তত্ত্বাবধায়ক দুটোরই বিপক্ষে আওয়ামী লীগ । সেনা মোতায়েন নিয়ে ইসি দ্বিধাবিভক্ত । হচ্ছে না ইভিএম । আগের সীমানাতেই ভোট
বিশ্বের প্রথম ভাসমান শহর

ভাসমান শহরটি গড়ে তোলা হবে ওশেনিয়া অঞ্চলে ফ্রেঞ্চ পলিনেশায়ার আশপাশের কোথাও। ২০২০ সালের মধ্যে এটি গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আশা করছে পরিকল্পনাকারী প্রতিষ্ঠান সিস্টিডিং ইনস্টিটিউট। এতে ৩০০ মানুষ বসবাস করতে পারবে। এই মানুষদের কাজের জন্য মূল ভূখণ্ডে যেতে হবে না। ভাসমান শহরেই থাকবে তাদের কর্মস্থল। নগরজীবনের প্রায় সব সুবিধা এই নগরে মিলবে বলেও জানিয়েছে সিস্টিডিং ইনস্টিটিউট। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট জো কুইর্ক তাঁর সহযোগীদের নিয়ে ব্লু ফ্রন্টিয়ার্স নামে নতুন একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছেন।
জো কুইর্ক এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া অঞ্চলে তাঁদের পরিকল্পনা সফল হলে সাগর-মহাসাগরে তাঁরা এমন আরও ভাসমান নগর গড়ে তুলবেন। তাঁর মতে, ভাসমান নগরগুলো হবে আসলে এক একটি ভাসমান দেশ। কারণ, এগুলো স্বায়ত্তশাসিত হবে। তবে প্রথম ভাসমান শহরটি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক সামুদ্রিক অঞ্চলের’ মধ্যে গড়ে তোলা হবে বলে জানান জো কুইর্ক। এতে করে তাঁর প্রতিষ্ঠান অপেক্ষাকৃত নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে কিছু পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারবে। প্রাথমিকভাবে এই শহর গড়ে তুলতে খরচ হবে ১৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার।
জো কুইর্ক জানান, ভাসমান শহরের জন্য ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। প্রকৌশলী ও স্থপতিরা প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত এলাকা পরিদর্শনও করেছেন। তবে ঠিক কোন জায়গাটায় ভাসমান শহর গড়ে তোলা হবে, তা জানাননি তিনি। সব ঠিক থাকলে ২০১৮ সালের মধ্যেই এই শহর নির্মাণের কাজ শুরু হবে। জো কুইর্কের আশা, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীতে এমন হাজারো ভাসমান শহর থাকবে।
ওয়াশিংটনকে আরও সতর্ক হতে হবে জঙ্গিবাদ দমনে: মস্কো
মস্কো আশা করছে, জঙ্গিবাদ দমনে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যে ঐকমত্য হয়েছে, ওয়াশিংটন তা যথাযথভাবে পালন করবে। সম্প্রতি দুই দেশের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, ওয়াশিংটনকে তা সঠিকভাবে পালন করার আহ্বান জানিয়েছে মস্কো।
আজ বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
রুশ গণমাধ্যমকে মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘১১ নভেম্বর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। আমরা আশা করছি, জঙ্গিবাদ দমনে ওই সাক্ষাতে যেসব ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছানোর কথা উল্লেখ রয়েছে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ তা পালন করবে।’
ভিয়েতনামের দানাং শহরে গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাক্ষাৎ করেন। এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি আলাদা বৈঠক করেন দুই নেতা।
বৈঠকে পুতিন ও ট্রাম্প দুজনই একমত হয়েছেন, সিরিয়া সংকট সামরিক শক্তি দিয়ে সমাধান করা যাবে না । রাজনৈতিক উপায়ে এ সংকটের একটা পূর্ণাঙ্গ সমাধান খোঁজা উচিত বলে তাঁরা মনে করেন।
সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে পুতিন ও ট্রাম্প তাঁদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সূত্র: তাস ওয়াশিংটনকে আরও সতর্ক হতে হবে জঙ্গিবাদ দমনে: মস্কো
তারেক মাসুদ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ক্ষতিপূরণ মামলার রায় ২৯ নভেম্বর
তারেক মাসুদ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ক্ষতিপূরণ মামলার রায় ২৯ নভেম্বর
সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা মামলায় আগামী ২৯ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার শুনানি নিয়ে রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে আবেদনকারী নিহত তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথেরিন মাসুদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ও রমজান আলী সিকদার।
বাস মালিকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার। রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও ইমরান এ সিদ্দিক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইশরাত জাহান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইশরাত জাহান প্রথম আলোকে বলেন, তারেক মাসুদের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা মামলায় ২৯ নভেম্বর এবং মিশুক মনিরের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা মামলায় ৩ ডিসেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। তবে রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্সের পক্ষের কৌঁসুলি ইমরান এ সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেছেন, মিশুক মনিরের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা মামলার শুনানি শেষ হয়নি।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মনির। তাঁদের বহনকারী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে তারেক মাসুদ ও মিশুক মনিরসহ মাইক্রোবাসের পাঁচ আরোহী নিহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতে মোটরযান অরডিন্যান্সের ১২৮ ধারায় বাস মালিক, চালক এবং ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। পরবর্তীতে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে মামলা দুটি হাইকোর্টে বদলির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন বাদীরা। নিম্ন আদালত থেকে মামলা দুটি স্থানান্তরে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্টে ওই আবেদন দুটি করা হয়। তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথেরিন মাসুদ এবং মিশুক মনিরের স্ত্রী কানিজ এফ কাজী ও তাঁদের ছেলে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর হাইকোর্টে ওই দুটি আবেদন করেন। যার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৩ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দেন।
রুলে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে মামলা দুটি কেন উচ্চ আদালতে বদলি করা হবে না—তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি মামলা দুটির নথি তলব করা হয়। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলা ও মোটর ক্লেইমস ট্রাইব্যুনালে করা মামলা দুটি হাইকোর্টে বদলির আবেদন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে বিচারপতি জিনাত আরার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য পাঠান প্রধান বিচারপতি। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায়ের এ দিন ধার্য করা হলো।
৩ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশের আশা আইনমন্ত্রীর বিচারকদের চাকরি শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধি
অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কিছু বিষয়ে যে মতপার্থক্য ছিল তা নিরসন করা সম্ভব হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলেই গেজেট প্রকাশ করা হবে।
আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করতে আইনমন্ত্রী রাতে কাকরাইলের জাজেস কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিয়ার বাসভবনে যান। সেখানে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির সবাই ছিলেন। এক ঘণ্টা ৫৩ মিনিট পর তিনি বেরিয়ে আসেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনায় পাঁচজন বিচারপতিই উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে যেটা যুক্তিসংগত মনে হয়েছে সেটা সব পক্ষই মেনে নিয়েছে। এখন মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমতি দিলেই গেজেট প্রকাশ করা হবে।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধিমালার চূড়ান্ত করতে কয়েক দফা সময় নেওয়ার পর গত ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ সময় মঞ্জুর করে ৫ নভেম্বর আদেশের জন্য দিন রাখেন। গত ৮ অক্টোবর আদালত বলেছিলে, ‘এটা (বিধিমালা) হওয়া দরকার। এটা নিয়ে বসা দরকার। কোথায় কোথায় আপত্তি আছে তা দেখা দরকার।’
এর আগে গত ৩০ জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এ নিয়ে বৈঠকে বসার জন্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে আহ্বান জানান। পরে ৩১ জুলাই আইনমন্ত্রী সরকার দলীয় আইনজীবীদের এক সমাবেশে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসবেন বলে জানান। তখন আইনমন্ত্রী অসুস্থ থাকায় ওই বৈঠক হয়নি।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর ২০১৫ সালের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় বিধিমালার একটি খসড়া তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। ওই বিধিমালা সংশোধন করে দেন আপিল বিভাগ। ওই খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেই বিধিমালা গেজেট আকারে জারি করে তা দাখিল করতে গত বছরের ২৮ আগস্ট আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এরপর থেকে রাষ্ট্রপক্ষ দফায় দফায় সময় নিয়েছে। সবশেষ সংশোধিত খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে গত ২৭ জুলাই জমা দেয় আইন মন্ত্রণালয়, ওই খসড়া সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ অনুসারে হয়নি বলে জানায় আপিল বিভাগ।http://www.banglanewsdesk.com/search/label/bangladesh৩ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশের আশা আইনমন্ত্রীর বিচারকদের চাকরি শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধি
সরকারের সিদ্ধান্তই মানতে হবে সেনাবাহিনীকে সু চি : আমি নীরব নই
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সংক্ষিপ্ত সফরে মিয়ানমারে গিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীকে (তাতমাদো) কড়া বার্তা দিয়েছেন ।নেপিডোতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের লাগামহীন নির্যাতন-নিপীড়নের বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে।
বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বেসামরিক সরকারের অঙ্গীকারগুলোর প্রতি সম্মান জানানো, সেগুলো বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করা এবং রাখাইন রাজ্যে সব ব্যক্তির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব। ’
টিলারসন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের আলোচনাকে আশাব্যঞ্জক হিসেবে উল্লেখ করেন। সীমানার ভেতর থাকা সবাইকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য মিয়ানমারকে এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোকে তিনি আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগকে ‘এককথায় ভয়ংকর’ হিসেবে উল্লেখ করলেও টিলারসন নিপীড়নের জন্য পুরো মিয়ানমারের ওপর অবরোধ বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার পক্ষে মত দেন। সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিশেষের ওপর অবরোধ আরোপকেই যথার্থ বলে তিনি মন্তব্য করেন। অন্যদিকে রোহিঙ্গা নিপীড়ন নিয়ে নীরবতা পালন নিয়ে বৈশ্বিক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে স্টেট কাউন্সেলর সু চি বলেছেন, ‘আমি নীরব নই। ’
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংক্ষিপ্ত সফরে গতকাল বুধবার মিয়ানমারে গিয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশটির ওপর চাপ বাড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। এর আগে গত মঙ্গলবারই ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় সু চির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি।
গতকাল সকালে নেপিডোতে পৌঁছে টিলারসন আলাদা বৈঠক করেন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং ও স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে। প্রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সু চির সঙ্গে টিলারসনের দুই দফা বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটই সবচেয়ে গুরুত্ব পায়।
নেপিডোতে সু চিকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে টিলারসন বলেন, ‘মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের ব্যাপক নৃশংসতার বিশ্বাসযোগ্য খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। নিরাপত্তা বাহিনীগুলো তাদের সহযোগীদের অবাধে নৃশংসতা চালাতে দিয়েছে। ’
স্কাই নিউজ জানায়, রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ হিসেবে অভিহিত করা হবে কি না সে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র তাদের মতো করে মূল্যায়ন করছে বলেও জানান টিলারসন। এ মুহূর্তে পুরো মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরামর্শ না দেওয়ার ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের সাফল্য, গণতান্ত্রিক বিকাশ দেখতে চাই। ’ তবে টিলারসন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করেননি। তিনি বলেছেন, ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে ‘টার্গেটেড স্যাংশান্স’ই (ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে অবরোধ) যথার্থ হতে পারে। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতিশ্রুত ৪০ কোটি ৭০ লাখ ডলার সহায়তার কথাও এ সময় তিনি উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে অং সান সু চি বলেন, ‘লোকজন যে কেন বলে আমি নীরবতা পালন করছি, তা জানি না। আমি নীরব নই। লোকজন যা বোঝাতে চায় তা হলো, আমি যা বলি তা তত আকর্ষণীয় নয়। ’ সু চি বলেন, তিনি চেষ্টা করেছেন যাতে নৃগোষ্ঠীগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে না নামে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, নেপিডোতে টিলারসনের বক্তব্য অত্যন্ত বাস্তবসম্মত। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন সু চির সরাসরি সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকছে। কারণ ওয়াশিংটন মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর ওপর সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত বেসামরিক সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাকে উৎসাহিত করছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কমনস সভায় এক আলোচনা পর্বে মানবাধিকার সংগঠনগুলো যুক্তরাজ্য ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অং সান সু চিকেও রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধন সমস্যার অংশ হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে। আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্রিটিশ এমপিরা অভিযোগ করেছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞ প্রক্রিয়ায় সু চিও জড়িয়ে গেছেন। বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকের পরিচালক মার্ক ফার্মনার বলেন, সু চি সামরিক অভিযানের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।
জাতিসংঘে আজ ভোট : এদিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের থার্ড কমিটিতে মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আজ বৃহস্পতিবার আলোচনা ও ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে। ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে মিসর এ প্রস্তাব এনেছে। ওই প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়া ও নাগরিকত্ব প্রদানের কথা রয়েছে। বাংলাদেশ আশা করছে, ওই প্রস্তাব গৃহীত হবে। এর ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ আরো বাড়বে।http://www.banglanewsdesk.com/
দখলে বিক্ষত রাজশাহী
পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে রাজশাহীর সুনাম রয়েছে। দূষণ কমানোয় এরই মধ্যে বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেয়েছে এই মহানগরী।
শিক্ষানগরী হিসেবেও রয়েছে আলাদা পরিচিতি। কিন্তু এসব স্বীকৃতি-পরিচিতি ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাচ্ছে দখলের থাবায়। বিখ্যাত সেই পদ্মার পাড় থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশনের জায়গা, রেলের জমি, সড়ক ও দখলে বিক্ষত রাজশাহীজনপথ (সওজ)

১. রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারী মোড়ে শহীদ মিনারের পেছনের জায়গা দখল করে তৈরি হয়েছে ‘ওয়াই এম’ নামের একটি স্পোর্টিং ক্লাব।
২. মহানগরীর পদ্মার পাড় ঘেঁষে বড় কুঠি থেকে মুন্নুজান মুক্ত মঞ্চের আগ পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধ দখল করে তৈরি করা হয়েছে ফাস্ট ফুডের দোকান।
৩. কাটাখালী পৌর এলাকার পশ্চিম শ্যামপুরে নদীর সঙ্গে সংযোগকৃত একটি খালের মাঝখানে গড়ে তোলা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কার্যালয়।
৪. শহর রক্ষা বাঁধের দক্ষিণ দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছে রেস্টুরেন্ট ও সম্মেলনকেন্দ্র। তবে কারাগার কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি তাদের নিজস্ব জমি।
নানগাগবাকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা সেনাবাহিনীর,জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট মুগাবে আটক
জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট বুগাবে ও তার স্ত্রী গ্রেসকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি বহিষ্কৃত ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগবাকে।
রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনী নেওয়ার কিছু সময় পর এই খবর এলো। ক্ষমতাসীন জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন-প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্টের (জানু-পিএফ) টুইটার অ্যাকাউন্টে আজ বুধবার দুপুরে এ কথা বলা হয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টটির বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিচ্ছে।
এদিকে ৩৭ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট মুগাবের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে কোনো শব্দ উচ্চারণ করেনি সেনারা। সরকারের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। এর আগে জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জিম্বাবুয়ে ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (জেডবিসি) দেশটির সেনা সদস্যরা দখলে নিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।
খবরে আরো বলা হয়, জেডএএনইউ-পিএফ পার্টিতে মিত্রদের আকস্মিক অপসারণের বিষয়ে মঙ্গলবার হস্তক্ষেপের হুমকি দেন সেনাপ্রধান জেনারেল কনস্টান্টিনো চিওয়েঙ্গা। এর ২৪ ঘণ্টা পরই রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে সেনাদের সাঁজোয়া যান চলতে দেখা যায়। এদিকে ওই হুমকির মাত্র দুই ঘণ্টা পর সেনারা জেডবিসির দখল নিয়ে কর্মীদের কর্মস্থল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
ওই সময় কয়েকজনকে হেনস্তা করা হয় বলে রয়টার্সকে জানান টেলিভিশনের দুজন কর্মী ও এক মানবাধিকারকর্মী।
স্বর্ণের চালান ধরেও ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে

কিন্তু চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে সেটি ধরা পড়ছে না। এ অবস্থায় এখানে দায়িত্বরত পুলিশ, কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে, দায়িত্বরত সংস্থাগুলো পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সোনার চালান ধরা পড়লেও খবরটা প্রকাশ করছে না। অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে চালানটা ছাড় হয়ে যাচ্ছে।
তবে শুল্ক গোয়েন্দা দল চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক তারেক মাহমুদ এই অভিযোগ মানতে নারাজ। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘পণ্য চোরাচালানের জন্য চিহ্নিত দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে শতভাগ যাচাই করা হচ্ছে। চেকিং থেকে কোনো যাত্রীই বাদ যাচ্ছে না। কাস্টমস এবং পুলিশের হাতেও তো ধরা পড়ছে না। তাহলে বুঝতাম কোনো এক পক্ষের গাফিলতি আছে।
’ শুল্ক গোয়েন্দার চৌকস এই কর্মকর্তা মনে করেন, চট্টগ্রামে চেকিংয়ে বেশি কড়াকড়ি হওয়ায় চোরাচালানিরা এখানে আসতে উৎসাহী হচ্ছে না। তারা হয়তো রুট পাল্টেছে।
শুল্ক গোয়েন্দারা জানায়, ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন প্রচুর সোনার বারসহ যাত্রী আটক করেছে। আটক এসব যাত্রীর বেশ কয়েকজন চট্টগ্রাম থেকে সোনা চোরাচালানের বাহক হিসেবে একই ফ্লাইটে ঢাকায় গেছেন এবং হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ধরা পড়েছেন শুল্ক গোয়েন্দাদলের হাতে।
তারেক মাহমুদ বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আইনগতভাবে আমি সেই বিমানে গিয়ে তল্লাশি চালাতে পারি। কিন্তু সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলে সব যাত্রীকে তো তল্লাশি করা সম্ভব নয়। ’
চট্টগ্রাম কাস্টমসের হিসাব অনুযায়ী, শাহ আমানত বিমানবন্দরে ২০১৬ সালে সবচেয়ে কম মাত্র তিন কেজি চোরাই সোনার বার ধরা পড়ে। আর সোনার অলংকার ধরা পড়ে এক কেজি ৬০০ গ্রাম। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সোনা ধরা পড়েছে পাঁচ কেজির বেশি। এর মধ্যে ৩০০ গ্রাম অলংকার, বাকিটা সোনার বার। এরপর থেকে প্রতি মাসে একটি বা দুটি আবার কোনো মাসে একটি সোনার বারও আটক করতে পারেনি কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দা বা পুলিশ।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে চোরাচালান হয়ে আসা সোনা আটকের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে কাস্টমসের। বিমানবন্দর পুলিশ ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের এই চালান আটকের এখতিয়ার নেই। তবে এই দুটি সংস্থার লোকজন সোনা পাচারে বাহক হিসেবে কাজ করে। এর মধ্যে শুল্ক গোয়েন্দা দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নজরদারি করে, আর আটকের ক্ষেত্রে কাস্টমসের সহযোগিতা লাগে।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বর্তমানে দুজন সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে সাতজন কর্মকর্তা দায়িত্বরত। তাঁদের একজন সহকারী কমিশনার তানভীর আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যাত্রীর শতভাগ লাগেজ স্ক্যান করছি এবং আর্চওয়ে ব্যবহার করছি। এতে দু-একটি সোনার বার, মদের বোতল, সিগারেট ধরা পড়লেও বড় চালান ধরা পড়ছে না। অবশ্য তার মানে এই নয় যে চোরাচালান বন্ধ হয়ে গেছে। ’
চোরাচালানিদের নিত্যনতুন কৌশল ধরতে না পারায় কাস্টমস ব্যর্থ হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা যদি হতো তাহলে অন্য সংস্থার হাতেও সোনার চোরাচালান ধরা পড়ত। ’
গোয়েন্দারা বলছেন, ব্যতিক্রমী কোনো ঘটনা না ঘটলে সোনার চালান ধরাটা খুবই কঠিন। প্রধানত বাহকের অসাবধানতা অর্থাত্ চোরাচালানের কৌশল বুঝে ফেলায় সেটি ধরা পড়ে। আবার আগেভাগে তথ্য ফাঁস হয়েও অনেক সময় চালান ধরা পড়ে। আর ধরা পড়াকে ২০ শতাংশ ‘সিস্টেম লস’ বলেই মেনে নেয় চোরাকারবারিরা।
অভিযোগ উঠেছে, সিভিল এভিয়েশন, বিমানবন্দর পুলিশ ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের পারস্পরিক যোগসাজশ থাকায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন সোনার চালান ধরা পড়েনি। দায়িত্বরত কিছু সাংবাদিকও মধ্যস্থতা করেন পাচারে সহযোগিতা করতে। ২০১৬ সালে সোনা চোরাচালান ও মানবপাচার এমন অবস্থায় পৌঁছে যায় যে বিমানবন্দরে কর্মরত পুরো পুলিশ টিমকে ঢাকায় বদলি করা হয়। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতা থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর পুলিশকে ঢাকার কেন্দ্রীয় পুলিশের অধীনে নেওয়া হয়। তাতেও চোরাচালান কমেনি। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম কাস্টমস একজন সহকারী কমিশনারকে তিন মাসের বেশি দায়িত্বে না রাখার সিদ্ধান্ত চালু করে। কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে একজন কর্মকর্তা সোনা চোরাচালান প্রতিরোধের কৌশল রপ্ত করার আগেই বদলি হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। এ অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারিতে বিমানবন্দরে সোনা চোরাচালানে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় শুল্ক গোয়েন্দা দল। তারপর থেকে বেশ সুফল মিলছিল। ধরা পড়ছিল একের পর এক চালান, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তারাও থমকে গেছে।
নতুন ধানও দিয়েও চালের বাজারের লাগাম টানা যাচ্ছে না।
বাংলা নিউজ ডেস্ক:
মাঠে মাঠে চলছে নতুন ধান কাটার উৎসব। পালস্না দিয়ে হাটবাজারে ধানের আমদানিও ক্রমে বেড়ে চলছে। কিন্তু ধানের দাম কমছে না। ঊর্ধ্বমুখি চালের বাজারে এখনও নতুন ধান প্রভাব ফেলতে পারছে না। পাইকারি বাজারে কিছুটা চালের দাম কমলেও খুচরা বাজারে আপাতত দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই।
তবে শ্রমিক হারানোর ভয়ে চাতাল মালিকদের একটা অংশ মিল বন্ধ রাখতে পারছেন না। আর মিলের চাকা ঘুরাতে গিয়ে চাতাল ব্যবসায়ীদের কমবেশি লোকসান গুণতে হচ্ছে। চাহিদামতো বেপারী না থাকায় লোকসানেও চাল বিক্রি করতে পারছেন না তারা। উত্তরাঞ্চলের শস্যভা-ারখ্যাত বগুড়ার মোকামে চাল পাহাড় পড়ে রয়েছে অবিক্রীত অবস্থায়। এ মোকাম থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত্মে প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ চাল কিনে থাকেন বড় বড় বেপারী বা মহাজনরা। কিন্তু স্থানীয় বাজারে চালের সংকট রেখে চাল কিনছেন ওইসব এলাকার বেপারী বা মহাজনরা। এতে খুচরা বাজারে চালের দাম কমছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।অথচ পাইকারি বাজার থেকে ঠিকই কম দামে চাল কিনছেন তারা। এতে মহাবিপাকে রয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। কিন্তু মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। সব মিলে নতুন ধানও পারছে না চালের বাজারের লাগাম টানতে। বগুড়া জেলার ধান-চাল ব্যবসার সঙ্গে সংশিস্নষ্টদের সঙ্গে কথা হলে চালের ঊর্ধ্বমুখি বাজারদর সম্পর্কে ওঠে আসে এমন তথ্য।
বর্তমান বাজারে প্রতিমণ বিআর-৪৯ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১০৫০ টাকা দরে। সেই ধান কিনে চাতালে ফেলার পর সেদ্ধ-শুকানো শেষে মিলে ভাঙানো হয়। প্রতিমণ ধান থেকে বড়জোর ২৭ সের হারে চাল উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী, প্রতিমণ চাল ১৫২০-১৫৬০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিমণ চাল উৎপাদনে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৬০ টাকা।
এর মধ্যে সেদ্ধ, শুকানো, ভাঙানো, লোড-আনলোড খরচ রয়েছে। এ হিসেব মতে, প্রতিমণ চালের বিপরীতে ব্যবসায়ীদের বর্তমানে ৬০-৮০ টাকা পর্যন্ত্ম লোকসান গুণতে হচ্ছে। অন্যান্য জাতের ধানের ক্ষেত্রে লোকসানের পরিমাণটাও প্রায় একই। এর মধ্যে আবার চাহিদামতো চাল কেনার বেপারী বা মহাজন নেই এই মোকামে।
জাহাঙ্গীর আলম ও আইয়ুব আলী জানান, বর্তমান বাজারে বিআর-৪৯ জাতের প্রতি বস্ত্মা (সাড়ে ৯৩ কেজি) চাল পাইকারি হিসেবে ৩৮০০-৩৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ধানের ঊর্ধ্বমুখি বাজারের কারণে তাদের ওই হিসেব অনুযায়ী লোকসান গুণতে হচ্ছে। তাও আবার চাহিদামতো চাল কেনার পাইকারি ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে তাদের পুঁজি আটকে যাচ্ছে। চালে গুদাম ভরে যাচ্ছে। দেখা দিচ্ছে পুঁজি ও পর্যাপ্ত জায়গার সংকট।
কিন্তু মিল-চাতাল চালু রাখার স্বার্থে আপাতত এর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু খুচরা বাজারগুলোয় স্থানভেদে একই পরিমাণ চাল (প্রতি বস্ত্মা) ২৫০-৩০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান এই দুই ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, প্রত্যেক ব্যবসার একটা সিজন অফসিজন টাইম আছে। ধান-চাল ব্যবসার সেই সিজন টাইম শুরম্ন হয়েছে। নতুন ধান বাজারে এলে অন্ত্মত বিগত সময়ের ঝক্কি ঝামেলা সামলে নিয়ে অনেকটা নিশ্চিতে ব্যবসা করতে পারবেন। কিন্তু সেই আশায় ব্যবসায়ীদের এবার গুড়ে বালি। কারণ নতুন ধানের বাড়তি দাম তার মতো অন্য ব্যবসায়ীদের ভীষণভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। মোখলেছুর রহমান, আব্দুল মজিদ, গোলাম রব্বানীসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ব্যবসার নতুন মৌসুম শুরম্ন হওয়ায় চাতাল চালু রাখতে লোকসান মেনেই তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হচ্ছে। এ ছাড়া চাতালে শ্রমিক থাকবে না। ভরা মৌসুমে শ্রমিক পাওয়া যাবে না। তাই শ্রমিক ধরে রাখতে ব্যবসা চালু রাখতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।